ইঙ্গিতটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন—২০২৪-ই সম্ভবত তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ বছর। এবার শেষের চূড়ান্তও করে ফেলেছেন রাফায়েল নাদাল। ডেভিস কাপের ফাইনাল খেলেই বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
চোটের সঙ্গে লড়াইটা থামছে না রাফায়েল নাদালের। গ্র্যান্ড স্লামগুলোতেও এখন তাঁকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে না। স্প্যানিশ টেনিস তারকা এ বছর আরেক গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনেও খেলবেন না তিনি। সামাজিকমাধ্যমে সেটা নিশ্চিত করেছেন নাদাল।
বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, এই উইম্বলডনের আগে ঘাসের কোর্টে কোনো জয়ই ছিল না জেসমিন পাওলিনির! সেই পাওলিনিই আজ ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্লাম উইম্বলডন জয়ের লড়াইয়ে নামবেন। ইতালিয়ান পাওলিনির প্রতিপক্ষ চেক প্রজাতন্ত্রের বারবোরা ক্রেজিকোভা।
চাইলে আরও কয়েক বছর র্যাকেট হাতে খেলাটা চালিয়ে যেতে পারতেন গারবিন মুগুরুজা। কিন্তু সেই সুযোগটা নিলেন না স্পেনের নারী টেনিস তারকা। গতকাল ৩০ বছর বয়সেই টেনিস কোর্ট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এক নম্বর নারী তারকা।
নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরার—গত এক দশকে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে নেই তিন টেনিস সুপারস্টারের একজনও। শুধু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই-বা বলছি কেন, কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালই হয়নি, যেখানে এই ‘বিগ থ্রি’র একজনও ছিলেন না!
সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড অনেক আগেই গড়েছেন নোভাক জোকোভিচ। পুরুষ টেনিসে সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ড স্লাম জিতে সবার শীর্ষে তিনি। এবার আরেকটি প্রথমের জন্ম দিয়েছেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা।
টেনিস বিশ্বের এক নম্বর তারকা হিসেবে নোভাক জোকোভিচের ছোট খাটো অনেক বিষয়েরই খোঁজ রাখেন ভক্তরা। তবুও ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী জোকোভিচের একটি ‘বিশেষ সম্পর্ক’ বিস্মিত করবে অনেককেই। কারণ এই সম্পর্কটি নেহাতই এক গাছের সঙ্গে! কী সেই সম্পর্ক?
রেকর্ড ২৫ গ্র্যান্ড স্লামে চোখ নোভাক জোকোভিচের। কিন্তু বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে নেমে পা হড়কানোর শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও শঙ্কাটা সত্যি হয়নি। তবে ৩৬ বছর বয়সি সার্বিয়ান তারকার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে দেন জোকোভিচের অর্ধেক বয়সি দিনো প্রিজমিচ।
টেনিস ছেড়েছেন তিন বছর হয়ে গেল। কোর্টের বাইরে সময়টাও বেশ ভালোই কাটছিল মারিয়া শারাপোভার। তবে রুশ সুন্দরী ভক্তদের জন্য সুখবর। আবারও খেলতে দেখতে যাবে শারাপোভাকে। তবে টেনিসে নয়, ‘পিকলবল’ নামে এক টুর্নামেন্টে।
সবচেয়ে বেশি ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা তাঁর। সবচেয়ে বেশি ৩৯টি মাস্টার্সও। টেনিসের মর্যাদাপূর্ণ সব রেকর্ডই যখন তাঁর দখলে, তখন গ্র্যান্ড স্লামে সবচেয়ে বেশি সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ডটিই বাকি থাকবে কেন! ইউএস ওপেনে পরশু যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ফ্রিজকে ৬-১,
নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে আগে প্রতিযোগিতাটা হতো রজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদালের। টেনিসের ‘বিগ থ্রি’র মধ্যে শুধু সার্বিয়ান তারকাই নিজের ফর্মটা ধরে রেখেছেন এখনো। ফেদেরার অবসরে। চোটে পড়ায় সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পরে আর দেখা যায়নি নাদালকে।
ম্যাচ জয়ের পর অদ্ভুত রকমের সেলিব্রেশন করতে জুড়ি নেই নোভাক জোকোভিচের। কোর্টের ঘাস খাওয়া, জুতায় শ্যাম্পেন ঢেলে পান করার মতো অদ্ভুত সব সেলিব্রেশন। এবার এসব পথে না হেঁটে ম্যাচ জয়ের পর জার্সিই ছিঁড়ে ফেললেন তিনি।
টেনিসের মর্যাদাপূর্ণ সব রেকর্ডই নোভাক জোকোভিচের দখলে। ‘অজেয়’ বলে সার্বিয়ান তারকার কাছে কিছু নেই! নোভাক জোকোভিচ কিন্তু তা মনে করেন না। আজ সিনসিনাটি মাস্টার্সের ফাইনাল, প্রতিপক্ষ কার্লোস আলকারাস। হার্ড কোর্টের এই ফাইনালে আলকারাসকে হারানোটাই তাঁর কাছে ‘চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ’।
হতবিহ্বল হয়ে নোভাক জোকোভিচ তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। ক্লোজ আপে টিভি পর্দায় ভেসে ওঠা বিস্মিত সার্বিয়ান তারকার মনের ভাষা তখন পড়া যায় সহজেই—এমনও ড্রপ শট হয়!
২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার প্রথমটি যখন জেতেন নোভাক জোকোভিচ, কার্লোস আলকারাসের বয়স তখন ৩ মাস কম ৫ বছর। ওই বয়সেই টিভিতে টেনিস দেখতেন। একবার উইম্বলডনের ফাইনাল দেখে ‘আমিও একদিন এখানে ফাইনাল
কয়েক বছর আগেই ব্রিটেনের সাবেক টেনিস খেলোয়াড় টিম হেনম্যান পূর্বানুমান করেছিলেন, ক্যারিয়ার শেষের আগে নোভাক জোকোভিচের নামের পাশে দেখা যাবে ২৮টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা।
ম্যাচটি শুরু হয়েছিল রোববার রাতে। শেষ হলো সোমবারে। দুই দিন খেলে পোল্যান্ডের হুবার্ট হারকাজকে হারিয়ে উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলেন নোভাক জোকোভিচ। সার্বিয়ান তারকা জিতেছেন ৭-৬ (৮-৬),৭-৬ (৮-৬),৫-৭, ৬-৪ গেমে।